ছাপা 

ঢাকা, ১২ মে, ২০১৪ (বাসস) : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দেশে সংবিধানসম্মত অসাম্প্রদায়িক একধারার অবৈতনিক মানস্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষার নামে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনে যাতে জঙ্গী -সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা না হয় এ বিষয়ে নজর দেয়ার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন। এ বিষযে সংবাদকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তথ্যমন্ত্রী আজ বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল হলে প্রাথমিক শিক্ষার ওপর সাংবাদিকদের দু’দিনের কর্মশালার শেষদিনে সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
অক্সফাম, আমার অধিকার ফাউন্ডেশন ও মিডিয়া প্রফেসনালস গ্রুফের সহযোগিতায় ঢাক রিপোর্টার্স ইউনিটি এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন, সাংবাদিক আবু সাইয়িদ খান।
এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ খান, আমার অধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন সিরাজুদ দাহার খান ও মিডিয়া প্রফেসনালস গ্রুপের সমর রায়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে যে সব ক্যাটাগরিতে প্রাথমিক শিক্ষা চালূ রয়েছে তা সংবিধান সম্মত ও অসাম্পদায়িক কিনা তা দেখতে হবে। আর এ ব্যাপারে বস্তুনিষ্ট তথ্য দেশবাসী ও সরকারের নীতিনির্ধারকদের সামনে তুলে ধরার জন্য তিনি মিডিয়া কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি দেশে এক ধারার অবৈতনিক মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের ওপর জোর দিয়ে বলেন, বিজ্ঞান মনস্ক, প্রযুক্তি নির্ভর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নৈতিক বলে বলিয়ান আগামী প্রজন্ম গড়ে তুলতে এর কোন বিকল্প নেই। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা তাদের লেখনির মাধ্যমে সরকার ও নীতি নির্ধারকদের সহযোগিতা করতে পারেন।
তিনি বলেন, তবে সাংবাদিকদের তথ্য পরিবেশনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র, সমাজ, সংবিধান, কোমলমতি শিক্ষার্থী, অভিভাবক শিক্ষক সর্বপোরি পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় রাখতে হবে।
মন্ত্রী এছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ে সব শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্ত্তি ও গমন নিশ্চিত এবং ঝরে পড়ারোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া রোধে দুপুরে শিক্ষার্থীদের খাবার সরবরাহসহ আনুসাঙ্গিক সুবিধা প্রদানের বিষয়েও সুপারিশ করেন।
অধাপক কাবেরী গায়েন বলেন, দেশে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে এ খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সাথে সাথে বর্তমানে এ পর্যায়ে যে বৈষম্যমূলক শিক্ষা চালু রয়েছে তা বন্ধ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী প্রাথমিক শিক্ষার ওপর দু’দিনের কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।